ওজু করার পরেও অনেকে পানাহার করেন, আবার কেউ ধূমপানও করেন। স্বাভাবিক খাবারের কারণে ওজু ভাঙে না এ বিষয়টি তো সবার জানা, কিন্তু ওজুর পর ধূমপান করলে সেই ওজুতে নামাজ, কোরআন স্পর্শসহ ওজু অবশ্যক এমন ইবাদতগুলো করা যাবে নাকি আবার নতুন করে ওজু করতে হবে?
এক্ষেত্রে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ওজু ভঙ্গের কারণ ৭টি-
(১) মল-মূত্রের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া (ময়লা, পানি, রক্ত, বাতাস বা অন্য কিছু)।
(২) মুখের লালার সঙ্গে রক্ত আসা (লালার সামান বা বেশি, কম হলে অজু ভাঙে না)।
(৩) চিত-কাত বা হেলান দিয়ে গভীর ঘুম দিলে।
(৪) পাগল হওয়া।
(৫) মাতাল বা নেশাগ্রস্ত হওয়া।
(৬) জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।
(৭) নামাজে উচ্চ স্বরে হাসা (জানাজার নামাজে নয়)।
মোটকথা শরীর থেকে কোনো নাপাক বের হওয়া বা বের হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে ওজু ভাঙে। যেহেতু ধূমপানের মাধ্যমে শরীর থেকে নাপাক বের হয় না বা বের হওয়ার পরিস্থিতিও তৈরি হয় না। তাই ধূমপানের কারণে ওজু ভাঙে না।
তবে ফুকাহায়ে কেরাম ধুমপানকে নাজায়েজ বলে থাকেন। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনে শুনে নিজের জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ।
এছাড়াও ধূমপানের কারণে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এতে অন্যের কষ্ট হয়, যা পৃথক একটি গুনাহ। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
তবে ধুমপানের দুর্গন্ধ নিয়েও যদি কেউ নামাজ পড়ে নেয় তাহলে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু মুখে বিড়ি-সিগারেটের দুর্গন্ধ নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না।
–(রদ্দুল মুহতার : ১/১৪৪; ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/১২; ফতোয়ায়ে হক্কানি : ২/৫১৩)।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।